ঢাকা,বুধবার, ৮ মে ২০২৪

চকরিয়ার ২যুবক কুমিল্লায় কাঁচা তরকারি বোঝাইকৃত গাড়ী নিয়ে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে কুমিল্লাগামী পিক আপ ভর্তি কাঁচা তরকারির বোঝাইকৃত গাড়ী থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গাড়ীর চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাস্থ দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর উপপরিদর্শক (এস আই) শাহাদাতের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি বন্দুক ও ৬টি কাটা রাইফেল। বৃহস্পতিবার (১ফেব্রুয়ারী) ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ী অতিক্রম করার সময় গাড়ী তল্লাসী করে অস্ত্র উদ্ধার করে ধৃত আসামীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বাজার পাড়া এলাকার আবদু রকিমের পুত্র গাড়ীর চালক মো:রুবেল (২৫)ও একই ইউনিয়নের মগপাড়া এলাকার নুরুল আমিনের পুত্র গাড়ীর হেলপার আল আমিন (২০)। বুড়িচং থানাধীন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর উপপরিদর্শক (এস আই)শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, কক্সবাজার চকরিয়া থেকে তরকারি বোঝাইকৃত একটি পিকআপ গাড়ী ফাঁড়ি পার হয়ে কুমিল্লা মুরাদনগর বাজারের উদ্দেশ্যে দ্রুত গতিতে সিগন্যাল অতিক্রম করে চলে যেতে চাইলে সামনে থাকা কনষ্টেবলরা তাদের আটকে দেয়। গাড়ীতে থাকা লেবার পরিচয় দেয়া দুজন এবং চালক ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথায় বড় ধরণের গড়মিল পাওয়া যায়। এবং তাদের গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় পুরো গাড়ীর কাঁচামাল (তরকারি) আনলোড করতে থাকি। এসময় পশ্রাব করার কথা বলে লেবার পরিচয় দেয়া দু’জন সটকে পরে। গাড়ীতে থাকা কাঁচমাল আনলোড করার শেষ দিকে প্লাষ্টিকের বস্তায় মোড়ানে বস্তার ভেতর থেকে ৬টি কাটা রাইফেল এবং ১টি বন্দুক পাওয়া যায়। বিষয়টি দ্রুত পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) মো: ইউসুফ স্যার কে অবহিত করি।  ঘটানা শুনার পরে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় গাড়ীর হেলপার ও চালককে কে গ্রেপ্তার করা হয়। আশেপাশে খোজ করে লেবার পরিচয়ে গাড়ীতে থাকা তরকারী মালিকদের আর পাওয়া যায় নি।

এ ব্যাপারে বুড়িচং থানাস্থ দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) ইন্সপেক্টর আবু ইউসুফ ফসিউল কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অস্ত্র চালান আটকের ঘটনাটি থানার ওসিসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানোনো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ওসি, সদর সার্কেলসহ অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: